November 23, 2024, 8:02 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
রাস্তা যেন মরন ফাঁদ – ভোগান্তি হাজারো মানুষ

রাস্তা যেন মরন ফাঁদ – ভোগান্তি হাজারো মানুষ

রফিকুল ইসলাম, রাঙ্গাবালী পটুয়াখালী।
রাঙ্গাবালীর চরমোন্তাজ ইউনিয়ন হচ্ছে ধানসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য উৎপাদনের জন্য প্রসিদ্ধ একটি এলাকা। এই ইউনিয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ হচ্ছে লঞ্চ ঘাট থেকে ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার রাস্তা। বর্তমানে এই রাস্তার বেহাল দশার কারণে থমকে আছে এই অঞ্চলের কৃষকসহ হাজার হাজার মানুষের ভাগ্যের চাকা। মাত্র দুই কিলোমিটার সড়কটি এখন এই অঞ্চলের মানুষের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। তবুও দৃষ্টি নেই কর্তৃপক্ষের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়নের দারভাঙ্গা, বাইলাবুনীয়া, নয়ারচরসহ ৮-১০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা হচ্ছে লঞ্চ ঘাট টু বাইলাবুনিয়া সরক। দু থেকে তিন যুগ আগে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বাইলাবুনীয়া বাজার থেকে লঞ্চ ঘাট যাওয়ার জন্য এখানে ১০ কিলোমিটার পথ নির্মাণ করা হয়। এর পরে ধাপে ধাপে রাস্তাটির বাইলাবুনীয়া বাজার থেকে ৮ কিলোমিটার পর্যন্ত পাকা করা হয়। আর অবশিষ্ট রাস্তায় শুধু ইট বিছানো ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে বছরের পর বছর রাস্তাটি সংস্কার কিংবা মেরামত না করায় বর্তমানে শুকনো মৌসুমেও চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে রাস্তার কিছু কিছু অংশ থেকে ইট উধাও হয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্তের। যে গর্ত পায়ে হেঁটে পার হওয়াই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

যার কারণে এই অঞ্চলের কৃষকসহ হাজার হাজার মানুষ তাদের কৃষিপণ্য ও অন্যান্য উপকরণ পরিবহন করতে পারছেন না। এমনকি টমটমও চলাচল করতে পারছে না। যার কারণে কৃষকরা বাধ্য হয়েই ধান, কাচামালসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণগুলো কম মূল্যে ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করছেন। এতে করে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন বছরের পর বছর। এছাড়াও রাস্তাটিতে একটি কালভার্ট ভেঙ্গে পড়ায় অবস্থা প্রায়, এতে দুর্ভোগের মাত্রাকে আরও একধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। রাস্তাটি ভালো না হওয়ায় শুকনো ও বর্ষা মৌসুমে এই অঞ্চলের শত শত শিক্ষার্থীদের দীর্ঘপথ পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়ে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। যার কারণে প্রতি বছর অনাকাক্সিক্ষত ভাবে ঝরে পরছে শত শত শিক্ষার্থী। থমকে আছে এই অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক চাকা মাত্র এই দুই কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তার কারণে।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাসেল খান বলেন, রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে দুটি প্রাইমারি স্কুল, একটি হাই স্কুল, দুটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সহ ইউনিয়ন পরিষদ ও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সেবা নিতে আসা হাজারো মানুষ ।

তিনি আরো বলেন, প্রতি সোমবার এখানে একটি বাজার বসে, রাস্তাটি ভালো না হওয়ায় বহিরা গতো ফড়িয়া এবং ভাসানি দোকান তেমন একটা আসেনা, এতে উৎপাদিত পণ্য ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারছে না কৃষকরা। অপরদিকে বহিরাগত ভাসানী দোকান না আসায় নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য কিনতে হচ্ছে অতিরক্ত দাম দিয়ে।

চরমোন্তাজ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মনির হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসাইন ও আলোমঙ্গীর মালসহ অনেকেই বলেন, দেশের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে শহরের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার কথা থাকলেও আমরা এই সুবিধা থেকে অনেক দূরে আছি। আমরা এই অঞ্চলের মানুষরা এখনো চরমভাবে অবহেলিত। গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন না করা পর্যন্ত শহরের সুবিধা কখনোই গ্রামে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই এই সামান্য গ্রামীণ রাস্তাটিকে দ্রুত আধুনিকায়ন করে এই অঞ্চলের কৃষক, ছাত্র, ছাত্রীসহ হাজার হাজার মানুষের ভাগ্যের চাকা সচল করতে প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

চরমোন্তাজ ইউপি চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন আবু-মিয়া বলেন, এই রাস্তাটি বর্তমানে চলাচলে চরম দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর এই রাস্তাটি মেরামত করার বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করব। বরাদ্দ পেলেই আপাতত মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।

রফিকুল ইসলাম
রাঙ্গাবালী পটুয়াখালী সংবাদদাতা।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD